কেশবপুরে ১০ মাসে ৪১ ট্রান্সফরমার চুরি

বুধবার ২৪ নভেম্বর ২০২১ ১৫:২৭


যশোরের কেশবপুরে একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র গত ১০ মাসে ২১ লাখ টাকা মূল্যের ৪১টি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে গেছে। বোরো মৌসুমের শুরুতেই একের পর এক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে কৃষকরা তাদের সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। এসব চুরি প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে স্বয়ং কেশবপুর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র থানা পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন, জন প্রতিনিধিদের কাছে দাখিল করলেও আজও এর রহস্য উদঘাটন হয়নি। গত ৮ নভেম্বর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বৈদ্যুতিক লাইনে স্থাপিত ট্রান্সফরমার একটি সংঘবদ্ধ প্রশিক্ষিত অপরাধী চক্র অন্ধকার রাতে লাইন চালু অবস্থায় চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। ট্রান্সফরমার চুরির ক্ষেত্রে প্রথম বার গ্রাহককে ৫০ ভাগ ও পরের বার শতভাগ মূল্য পরিশোধ করে নতুন করে ট্রান্সফরমার নিতে হয়। এতে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহক ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

এছাড়া নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্ন ঘটাসহ গ্রাহক হয়রানিও বাড়ছে। এসব ঘটনায় সাধারণ জনগণকে চুরি প্রতিরোধে পাহারার ব্যবস্থা করাসহ জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে মোটিভেশন মিটিং, বারবার মাইকিং করা হলেও ট্রান্সফরমার চুরি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি চুরির বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হচ্ছে এমনকি চোরের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করা হচ্ছে। চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪১টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে কেশবপুর পৌর এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এসআই হাসান বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় তার কাছে ক্ষতিগ্রস্থদের লিখিত অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের অসাধু ব্যক্তিসহ ঠিকাদার, সাব ঠিকাদাররা ট্রান্সফরমার চুরির সাথে জড়িত থাকতে পারে। যে কারণে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও এর ক্লু উদঘাটন সম্ভব হচ্ছে না।

কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল লতিফ বলেন, সরকারি সম্পত্তি চুরি রোধে তথা জনগণকে আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। কেশবপুরের ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় চোরের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করা হলেও চোর আটকের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ পুলিশ গ্রহণ করেনি।

তিনি আরো বলেন, পল্লী বিদ্যুতের কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী ট্রান্সফরমার চুরির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে এমন প্রমাণ আজও পাওয়া যায়নি।

 

এমএসি/আরএইচ