কুষ্টিয়ায় ১ যুগ পর কয়া ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক

শনিবার ২৮ আগস্ট ২০২১ ১৫:১৬


:: মোঃ কামরুজ্জামান, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ::



কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলার চাঞ্চল্যকর ১২ বছর পর কয়া ইউপি চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মানিককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১২।

গতকাল রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা উপজেলার কৃষ্টগঞ্জ এলাকায় র্যাবের একটি অভিযান পরিচালনা কালীন সময়ে মানিককে আটক করেন। আজ সকালে কুষ্টিয়া র‌্যাব-১২ এর কার্যালয়ে বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদেরকে জানান কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান। আটকৃত হলেন কুমারখালী উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকার মৃত খান শরিফ উদ্দিনের ছেলে মানিক।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদেরকে আরও জানান ২০০৯ সালের ২৫ জুলাই বিকালে ইউপি চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চু বাড়ী ফেরার পথে কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের হাতির শাকো রেললাইন এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে দূর্বুত্তরা অতর্কিত গুলি বর্ষণ ও ছুরিকাঘাত করে নিমর্মভাবে হত্যা করে।

পরে নিহতের ভাই জিয়াউল ইসলাম স্বপন বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী উপ পরিদর্শক নাসির উদ্দিন ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে ২০১৩ সালে ১৬ জুলাই কুষ্টিয়া আদালত থেকে খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়।

মামলার বিচার শেষে বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল খুলনা আদালত উক্ত গ্রেপ্তারকৃত আসামীসহ ১২জন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
র‌্যাব-১২ আরও জানান চেয়ারম্যান হত্যার পর সে নিজ এলাকা ছেড়ে রাজশাহীতে বসবাস শুরু করে। পরিচয় গোপন রেখে রকিব উদ্দিন নামে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করেন।

আটকৃত মানিককে কুমারখালী থানায় হস্তান্তর করা হবে। পরে কুমারখালী থানা তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করবে বলে তিনি জানান।

 

এমএসি/আরএইচ