কুষ্টিয়ায় ভেড়ামারায় রায়হান হত্যা মামলায় ১ নারী আমৃত্যু ও ৫ জনের যাবজ্জীবন

বুধবার ১৩ এপ্রিল ২০২২ ১৯:০৯


:: রাকিব হাসান, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ::
 
কুষ্টিয়ায় ভেড়ামারায় রায়হান নামে এক যুবক হত্যা মামলায় ১ নারী আমৃত্যু ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ খন্দকারপাড়ায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রায়হান হত্যার অভিযোগে একই পরিবারের শিখা খাতুন নামে নারীর আমৃত্যু কারাদন্ড ও নারীসহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। আজ দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনা শেষে আসামীদেরকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারের প্রেরনের আদেশ দেন আদালত।
 
আমৃত্যু কারাদন্ড সাজা পেলেন ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ এলাকার মান্নানের মেয়ে শিখা খাতুন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হলেন দৌলতপুর উপজেলার ভুরকা গ্রামের মৃত জলিল সর্দ্দারের ছেলে সর্দ্দার, শওকত সর্দ্দারের ছেলে মজনু সর্দ্দার, মৃত জলিল সর্দ্দারের ছেলে মান্নান সর্দ্দার, ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ এলাকার রাজন বিশ্বাসের স্ত্রী আজমিরা খাতুন ও সাধু।
 
মামলা সূত্রে জানা যায় ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের ০৬ তারিখে রাতে রায়হান তার পিতার বাড়ীতে থেকে অজ্ঞাত নামা এক মোবাইল ফোন পেয়ে বন্ধুর বাড়ীতে যাচ্ছে বলে তার মাকে জানায়। পরেদিন সকালে তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পান তার মা মুক্তি খাতুন । ঘটনার পরের দিন সকালে লোকমুখে বাড়ী থেকে দেড় কিঃ মিঃ দুরে তার ছেলে রায়হান জুনিয়াদহ পালপাড়া মাঠে জনৈক বদর উদ্দিন বিশ্বাস এর পানের বরজের জমির আইলের উপর নিয়ে পুরুষাঙ্গ এবং অন্ডকোষে জখম করে পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করে। এ বিষয়ে মৃত রায়হানের পিতা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করে।
 
পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর ভেড়ামারা পুলিশ মামলাটি তদন্ত শেষ করে উপরোক্ত আসামীদেরকে আটক করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
 
এ বিষয়ে পিপি এ্যাড অনুপ কুমার বলেন রায়হানের সাথে শিখা খাতুনের দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রায়হানের পরিবার শিখা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় শিখা খাতুনের পরিবারের সদস্য তাকে কৌশলে ডেকে রায়হানকে হত্যা করে বলে তিনি জানান। তবে এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রায়হানের পরিবারের সদস্যরা।
 

এমএসি/আরএইচ