কুষ্টিয়ার পাট চাষীদের মুখে হাসির ঝলক : ফলন ও দামে তাদের স্বস্তি  

সোমবার ৩০ আগস্ট ২০২১ ১২:১২


:: মোঃ কামরুজ্জামান, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ::



বাংলদেশের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে লাভবান হবার মধ্যে পাট ছিলো অন্যতম । কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমের শুরুতেই ‘সোনালি আঁশ’ পাটের দাম গত বছরের চেয়ে বেশি পাচ্ছেনা চাষীরা । ভালো দাম পাওয়ায় এ জেলার ছয় উপজেলার কৃষকের মুখে ফুটেছে সন্তুষ্টির হাসি । করোনার সংকটময় সময়ে স্বস্তি ও খুশিতে আত্মহারা পাট চাষিরা। এতে কৃষক পরিবারে বইছে আনন্দ। সব শঙ্কা কাটিয়ে এবার হাসি ফুটেছে হাজারো পাটচাষির মুখে। এতে পাটচাষিদের মধ্যে খুশির বন্যা বইছে। সবার মুখে ফুটেছে সোনালি হাসি। কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা এবং ভালো দাম পেলে আগামীতে পাটের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা জানান, গত বছরের চেয়ে এবছর পাটের দাম বেশি। গত বছর এই সময় প্রতি মণ পাটের দাম ছিল ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু এ বছর মৌসুমের শুরুতেই বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকায়।


সেই সঙ্গে পাটখড়ির দাম যুক্ত করলে প্রতি বিঘায় এখন কৃষকের লাভ হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। করোনাভাইরাসের সংকটময় সময়ে গত বছরের চেয়ে বেশি দামে পাট বিক্রি করে ভালো লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।


কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার ছয়টি উপজেলায় এ বছর ৪০ হাজার ৯৯৬ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। গত বছর ৩৯ হাজার ৫১৭ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছিল। জমিতে দেশি, রবি-১, মেস্তা, জেআরও এবং তোষা জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রতি বিঘায় আট থেকে দশ মণ পাট উৎপাদিত হচ্ছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, কুষ্টিয়া জেলায় পাটচাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জমি থেকে পাট কাটছেন, কেউ পাটের বোঝা বাঁধছেন, কেউ কেউ মাথায় করে সেই বোঝা নিয়ে যাচ্ছে নদী-খাল কিংবা পুকুরে। আবার অনেক জায়গায় পাট জাগ দিচ্ছেন কৃষকরা। অনেকে আঁশ ছাড়িয়ে, পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে বিক্রির জন্য বাজারে নিচ্ছেন। পাটের সঙ্গে সঙ্গে পাটখড়ির চাহিদাও বেশি। প্রতি বিঘায় প্রায় পাঁচ হাজার টাকার পাটখড়ি পাওয়া যায়। সব মিলে চাষিরা খুশি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ বলেন, গত বছরের চেয়ে উৎপাদন, চাষের পরিমাণ ও দাম এ বছর বেশি। পাট চাষের উপযোগী আবহাওয়ার ফলে ফলন বেশি পেয়েছেন কৃষক। বাজারে পাটের দাম ভালো যাচ্ছে। আশা করি আগামী বছর কৃষকরা পাট চাষে উদ্বুদ্ধ হবেন। আগামীতে আবাদ আরও বাড়বে।

 

এমএসি/আরএইচ