অনুষ্ঠানে ভিড় ছিলো নজরকাড়া । হল ঘরটি কানায় কানায় বোঝাই হয়ে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছেন । “অরুণালোক সাহিত্য পরিবার” ও “দিলীপ রায় ফ্যান্স ক্লাব” এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানে সাহিত্য প্রেমী মানুষের ঢল নেমে । সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকে দেশ বিদেশের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যপ্রেমী মানুষদের নিয়ে তাদের পথ চলা। সেই প্রয়াসের অঙ্গ হিসাবে এবছর তাদের পত্রিকার নয়া সংখ্যার মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠান ছিলো অন্যতম । সেই সঙ্গে বেশ কিছু নতুন গ্রন্থের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ও উন্মোচন করা হয়। যেমন দিলীপ রায়ের লড়াকু মহিলা ও ৫০টি প্রিয় গল্প, সুব্রত সাহার আত্ম উপলব্ধি, ফটিকে চন্দ্র বিশ্বাসের মল্লিকাঞ্জলি, ইত্যাদি ।
এ সময় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ২৬ টি সাহিত্য সংগঠনকে স্মারক সম্মাননা দিয়ে সম্মানিত করা হয় । তা ছাড়া “দিলীপ রায় ফ্যান্স ক্লাব”এর নিয়মিত লেখক ও ফ্যান্স ক্লাব কর্তৃক অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের নিয়মিত অংশগ্রহণকারী কবি, বাচিক শিল্পী ও সাহিত্যিককেও স্মারক সম্মাননা দিয়ে সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত কবি, বাচিক শিল্পী, সঙ্গীত শিল্পী,কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, সঙ্গীত পরিবেশন করেন ।
তা ছাড়া অরুণালোক সাহিত্য পরিবার নবীন-প্রবীন সৃষ্টিশীল মানুষদের মর্যাদা দিতে বদ্ধপরিকর । যার জন্য সৃজনশীল মানুষের আন্তরিক ভালবাসায় অরুণালোক সাহিত্য পরিবার, সাহিত্যের নিরিখে বিশ্ব মাঝে এগিয়ে চলেছে ।
প্রধান অতিথি মীর আব্দুল আলীম বলেন একটি পাসপোর্ট আমাদের সামনে দেয়াল হয়ে আছে মনের দিক থেকে আমরা অভিন্ন। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দিলীপ রায় বললেন, "আমাদের দেশ ও বাংলাদেশের কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান করার একটাই কারণ দুই দেশের মধ্যে মেল-বন্ধন অটুট রাখা । দুই দেশের সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত করা । এ সাহিত্য সমাবেশে বাংলাদেশের ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ যেমনি এসেছেন, তেমনি আমাদের দেশের ত্রিপুরা রাজ্য, অসমের শিলচর, করিমগঞ্জ, মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম-নদীয়া-বাকুঁড়া-বর্ধমান-দক্ষিণ দিনাজপুর-জলপাইগুড়ি থেকেও কবি সাহিত্যিকেরা এসেছেন । এ সম্মেলন নবীন ও প্রবীণ কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে একটি মেলবন্ধনের সেতু গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে । এর জন্য আমরা যেমন কবি সাহিত্যিকদের প্রতি কৃতজ্ঞ, তেমনি আমাদের কার্যকরী কমিটির সদস্য - সদস্যাদের কাছেও কৃতজ্ঞ । প্রত্যেককে আমাদের কুর্ণিশ ।“
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মীর আব্দুল আলীম বললেন, “আন্তর্জাতিক সাহিত্য সমাবেশ থেকে একটা জিনিস পরিস্কার, দুই দেশের মানুষ বাংলা ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে দৃঢ়বদ্ধ । তা ছাড়া দুই দেশের মেলবন্ধন অটুট রাখতে অনুষ্ঠানটির গুরুত্ব অপরিসীম । তিনি মনে করেন এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত হবে ।