করোনা কাটিয়ে আবারও মুখরিত জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম

শুক্রবার ২৬ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৪২


:: ইব্রাহিম আল সোহাগ, চট্টগ্রাম ::


সকাল থেকেই বন্দর নগরি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের বাইরে ভিড়। কেউ এসেছেন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে, কারও হাতে উড়ছে লাল সবুজের পতাকা, কারো গালে অঙ্কিত হয়েছে লাল সবুজের পতাকা। দর্শকের এই উচ্ছ্বাস দীর্ঘদিন পর টাইগার বাহিনীর সাথে পাকিস্থানের খেলা দেয়ার।

প্রায় ২৬ মাস পর চট্টগ্রামের দর্শকেরা পেলেন গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ। দিনভর বাংলাদেশ–বাংলাদেশ গর্জনে মুশফিকুর রহিম–লিটন দাসকে অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন তারা। গেয়েছে সাবাস বাংলাদেশ আসিফ আকবরের উজ্জীবিত গান।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে ত্রিদেশিয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বশেষ দর্শক দেখা গিয়েছিল এই মাঠে। এরপর ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কোনও ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও দর্শকশূন্য গ্যালারিতে সিরিজটি সম্পন্ন হয়।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকালে শুরু হওয়া বাংলাদেশ-পাকিস্তানের প্রথম টেস্টের মধ্য দিয়ে স্টেডিয়ামে কেটেছে দর্শক খরা। ৫০ শতাংশ দর্শক মাঠে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ২টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করে বিসিবি। চার ক্যাটাগরিতে এই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। ক্লাব হাউজ পূর্ব গ্যালারির টিকিটের মূল্য নির্ধারিত করা হয়েছে ২০০ টাকা। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডের মূল্য ৩০০ ও হসপিটালিটি বক্সের টিকিটের মূল্য ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নগরির এই স্টেডিয়ামে ২২ হাজার দর্শক বসার ধারণক্ষমতা আছে। তবে করোনার এ সময়ে পাঁচ হাজার দর্শককে মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

দীর্ঘ ৭৯৫ দিন বিরতির পর মাঠে প্রবেশ করতে পেরে দর্শকেরা মেতে উঠেছেন উৎসবে। খেলা দেখতে আসা দর্শকরা বলেন ‘অনেকদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ মাঠে বসে দেখার সুযোগ হয়নি। অবশেষে সুযোগ হলো। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় মাঠে চলে এসেছি।'

দীর্ঘদিন পর দর্শকে মুখরিত জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম। ফলে খুশি এখানকার সকল ধরণের ব্যবসায়ীরা। স্টেডিয়ামে খেলা চললে কিছু মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা হয়, ফলে এই এলাকায় যেব উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে দীর্ঘদিন পর মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে পুরো স্টেডিয়াম কে সাজানো হয়েছে অপরুপ সাজে। চারদিকে চোখে পড়ছে লাল-নীল রঙ্গিন আলো।

 
 

এমএসি/আরএইচ