কবে শান্ত হবে বাউফলের নওমালা? 

বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:১৬


নিজস্ব প্রতিনিধি, পটুয়াখালী ::
 
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়ন নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গড়ে উঠা সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর বেপরোয়া চাঁদাবাজি, ঘর-বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও হামলায় ঘটনায় আতঙ্কে ওই ইউনিয়নের প্রায় শতাধীক পরিবার। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এদের বিষয়ে অদৃশ্য কারণে নিরব থাকায় ওই ইউনিয়নে ক্রমেই সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি-লুটপাট, সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করে চলছে।
 
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে এদের অত্যাচারের দিশেহারা নওমালা ইউনিয়নের শান্তিপ্রিয় কয়েক শত মানুষ। এসব সন্ত্রাসী কর্তৃক ভয়ভীতি প্রদর্শন, হত্যার হুমকির কারনে কয়েকশ’ লোক ইতোমধ্যে এলাকা ছাড়া হয়েছে। শতাধিক বাড়ি-ঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদার দাবিতে তান্ডব চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। 
 
হামলার শিকার ভুক্তভোগী পরিবারসহ বিভিন্ন সূত্র বলছে, সংঘবদ্ধ এই বাহিনীর মাঠপর্যায়ের প্রধান সেনাপতি নিজবটকাজল গ্রামের মৃত রুস্তুম আলী মৃধার পুত্র কাবিল মৃধা। এলাকায় মাদক বাণিজ্য, ছিনতাই, ভাড়ায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ নানা অন্যায়-অপকর্মের হোতা কাবিল মৃধার নেতৃত্বে রোমান মৃধা, কবির মৃধা, মামুন হাওলাদার, হাসান দফাদার, ইসমাইল মৃধা, জাকির ফকির, আমির ফকির, মোয়াবিন, সজিব গাজী সহ ৩০/৪০ জনের সংঘবদ্ধ বাহিনী ওই ইউনিয়নে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে, যাতেকরে জনমনে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। আরো আগে থেকেই এদের অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ ইউনিয়নবাসী। সংঘবদ্ধ এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বাউফলের নওমালা ইউনিয়নে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বিশ্বাসের আর্শিবাদপুষ্ঠ। 
 
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, চাঁদার দাবিতে নওমালা ইউনিয়নের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে মাঠ দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সাধারন মানুষের ঘর-বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে শতাধিক ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ভাঙচুরের তান্ডবলীলা চালিয়েছে। চাঁদার দাবিতে সাধারন মানুষকে অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে। নির্ধারিত চাঁদার টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে তার আর নিস্তার নেই। এই সন্ত্রাসীরা সাধারন মানুষকে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। নগরের হাটে এলাকায় সদ্য নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহজাদা হাওলাদার, আ. খালেক মৃধা (মধু মৃধা), বেল্লাল মল্লিক, ইউনুস বিশ্বাস (শিক্ষক), রিয়াজ হাওলাদার (শিক্ষক), মো. মজিবুর হাওলাদার ও তার ভাই জামাল হাওলাদারের বাসা-বাড়িতে হামলা চালিয়ে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। আমির হোসেন, মশিউরের দোকান, জাহাঙ্গীরের ভাতের হোটেল, আকবরের চায়ের দোকান, রহিমের ভাতের হোটেলসহ কালাইয়া লোহালীয়া রোডের দুই পাশের অর্ধশতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোতালেব চৌকিদারের কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করে কাবিল বাহিনী।
 
অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ফের মোতালেব চৌকিদারের বাড়িতে গিয়ে সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যরা এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদাবাজরা হলো- নিজবটকাজল গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের রফিজ খানের পুত্র ইব্রাহিম, বটকাজল গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের রুস্তুম মুন্সির পুত্র মো. কাওসারসহ সংঘবদ্ধ চক্র। প্রশ্ন হচ্ছে-এই চক্রটি কোন অদৃশ্য শক্তিতে এলাকায় চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে? এরফলে সাধারন মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। 
 
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ইউনুস বিশ্বাসের ঘরে গিয়ে তার স্ত্রী-পরিজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা থেকে চলে যেতে বলছে। নচেৎ বসতঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়। আ. খালেক মৃধার নগরের হাটস্থ বসতঘরের সামনে গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসীরা। আবার তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক সন্ত্রাসীরা সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তি তাহের খানের বাসার সামনে আ. খালেক মৃধার দুটি দোকান ভাড়া আগামী মাস থেকে চাঁদাবাজরা দাবি করেছে বলে ভাড়াটিয়া জানিয়েছেন। এছাড়া ইউনিয়নের বাবুরহাটের শামুর দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
গত ১১ নভেম্বর নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কামাল হোসেন বিশ্বাস বিজয়ী হয়। এরপর থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পরাজিত প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতের আধারে ইব্রাহিম মাষ্টারের মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে সন্ত্রাসীরা। পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় তিন লাখ টাকার মাছ মরে গিয়েছে। শিক্ষক মো. ইব্রাহিম হোসেন প্রায় তিন বছর পর্যন্ত পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করে আসছেন। 
 
এই সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ইউনিয়নের শান্তিপ্রিয় মানুষ হতাশ। এইসব সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, লুটপাট, ঘর-বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার অপকর্মগুলো কী দেখার কেউ নেই। বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদছে।
 
সচেতনমহলের প্রশ্ন-এসব সন্ত্রাসী কারা? যাদের অস্ত্রের মহড়ায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। যারা ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েমের পথে হেঁটে চলছে। কাদের আশ্রয়প্রশ্রয়ে এরা দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠে মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় হুমকিস্বরূপ হয়ে দাড়িয়েছে।
 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, এলাকায় গড়ে উঠা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠেছে। এ পর্যন্ত শতাধিক ঘর-বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। প্রশাসন চাইলে সবাইকে শনাক্ত করে আইনআমলে নিতে পারে। আমরা জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার ১৪ নভেম্বর বিকেলে নওমালা ইউনিয়নের নগরের হাটের দক্ষিণ পার্শ্বে ব্যাপারি বাড়ির বাসিন্দা আমির হোসেন এর পুত্র বেল্লাল হোসেন এর বাসায় প্রথমে এলোপাথারিভাবে কুপিয়েছে। পরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। এরপর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা উল্লাস করতে করতে স্থান ত্যাগ করে। 
 
ভুক্তভোগি পরিবার বলছেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে টিভি, ফ্রিজ, শোয়ার খাটসহ বিপুল পরিমাণ আসবাব ভাঙচুর করে। এরপর সেগুলো এক জায়গায় স্তুুপ করে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন পানি ঢেলে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে বেল্লাল হোসেন সাবেক চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাদা হাওলাদারের সমর্থক ছিলেন। এ ঘটনার মামলা সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসের কর্মী মো. কাবিল মৃধার নেতৃত্বে ৬০-৬৫ জনের একটি দল বেল্লাল হোসেনের বাড়িতে ঢুকে টিভি, রেফ্রিজারেটর, খাটসহ অন্যান্য আসবাব ভাঙচুর করেন। এরপর সেগুলো এক জায়গায় স্তুুপ করে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন পানি ঢেলে আগুন নেভায়। এ হামলার ঘটনায় মো. বেল্লাল হোসেনের মা মোসা. সেতারা বেগম বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ্য এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওইদিন রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মঞ্জু (৩৫), মো. করিম (৩৬), মো. ইউনুচ (৩৫) ও মো. রবিউল (১৯)। গ্রেপ্তারকৃতরা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসের কর্মী–সমর্থক। কিন্তু অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির হোতা কাবিল মৃধাসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদের গ্রেপ্তারে পুলিশের গড়িমসির অভিযোগ রয়েছে। আবার গ্রেপ্তার হলেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে ফের এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টিতে মত্ত থাকে। অবাক হওয়ার মত বিষয় ইতোমধ্যে এই মামলার আসামিরা জামিন পেয়েছেন। 
সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করে বেল্লালের মা সেতারা বেগম বলেন, সন্ত্রাসীদের মহড়ায় তার পরিবার জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতার মাঝে বসবাস করছেন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের পর বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 
 
এ প্রসঙ্গে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বেল্লাল তার অনেক কর্মীকে অত্যাচার–নির্যাতন করেছেন। এতে অনেকে পঙ্গু হয়েছে। এরপরও তিনি তার নেতা-কর্মীদের শান্ত রেখেছিলেন। কিন্তু বেল্লাল নির্বাচনের পর ফেসবুকে উত্তেজনামূলক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এ কারণে তার কিছু বিক্ষুব্ধ কর্মী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার অন্য কর্মীরাই বিক্ষুব্ধ কর্মীদের শান্ত করেছে।
 
সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাদা হাওলাদার বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি-ঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের তান্ডবলীলা চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবি করছে। সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়ায় আমার কয়েক’শ কর্মী-সমর্থক এলাকাছাড়া। তিনি আরো বলেন, গত নির্বাচনে আমিও তাঁকে (কামাল হোসেন বিশ্বাসকে) পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছিলাম। সেসময় কাউকে এলাকা ছাড়া হতে হয়নি।হামলা লুটপাট চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি। 
 
ওই এলাকার সাধারন জনগন বলছেন,পুলিশী অভিযানে কিছু অপরাধী আটক হলেও মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। অপরাধী চক্র গড়ে তোলার হোতাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হলেই অপরাধের মূলোৎপাটন করা সম্ভব। সবমিলিয়ে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি সংঘাত, হানাহানির ঘটনা নিয়মিত বাড়ছে। গ্রামে গ্রামে বহু মানুষ আজ রাজনৈতিক হিংসার জেরে ঘরছাড়া। মৃত্যু, হানাহানি নষ্ট করছে গ্রামীণ পরিবেশ। সবাই আজ জানতে চায়– এর শেষ কোথায়? আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিজেদের পছন্দমতো, এলাকায় উজ্জ্বল ভাবমূর্তি আছে এমন মানুষকে নির্বাচিত করে আনার প্রক্রিয়াটাই বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামে আর জনপদে নির্বাচন এক আতঙ্কের নাম। এত অস্ত্রের প্রদর্শনী, এত সহিংসতা, এত জখম। সংবেদনশীল মানুষ বুঝতে চায় রাজনীতির জন্য এই সহিংসতা নাকি সহিংসতার জন্যই রাজনীতি? নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা কাম্য নয়। একটা দল জিতবে আর বাকিরা হারবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভোটে জেতার জন্য প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি লুটতরাজ, হত্যাচেষ্টা, খুন। এই রাজনৈতিক চর্চা মানুষ চায় না। এই চাঁদাবাজ চক্রের লাগাম টেনে ধরতে শান্তিকামী মানুষকে এগিয়ে আসাটা জরুরি বলে মনে করেন অভিজ্ঞমহল। যেখানে সরকার মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের বিষয়ে হার্ডলাইনে অবস্থান করছেন, এরকম পরিস্থিতিতে নওমালা ইউনিয়নে চাঁদাবাজদের দৌরাত্মে যেনো এক ভয়ার্ত পরিবেশ বিরাজমান! নওমালা ইউনিয়নে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ চক্রের মূলোৎপাটনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন শান্তিপ্রিয় মানুষ। বিশেষ করে বরিশাল পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার, পটুয়াখালী র‌্যাব ক্যাম্প, বরিশাল র‌্যাব-৮ এর আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ।
 
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নওমালা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাড. কামাল হোসেন বিশ্বাস বিজয়ী হন। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া) সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান মো. শাহজাদা হাওলাদার পরাজিত হন। কামাল বিশ্বাস জয়ী হওয়ার পর ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিজয় উল্লাস থেকেই প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে আসছে এসকল সন্ত্রাসীরা। এবং বেপরোয়াভাবে চাঁদাবাজিতে সন্ত্রাসীরা মাঠ দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

এমএসি/আরএইচ