উজিরপুরে চাঁদাবাজদের খপ্পরে অসহায় পরিবার

শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ ১২:৪২


:: নাসির শরীফ, উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি ::
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলায় কতিপয় চাঁদাবাজদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে এক অসহায় পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায় শিশু ধর্ষণের ঘটনা মিমাংসার নামে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং আরো ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছে প্রভাবশালী রশিদ মিয়া ও মোস্তফা বিশ্বাস।
উল্লেখ্য ২৬  সেপ্টেম্বর উপজেলার উত্তর সাতলা গ্ৰামের কালাম বালীর ছেলে মাছুম বালি ও দক্ষিণ সাতলা গ্ৰামের কিনাই বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাসের বরিশাল আদালতে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ওই এলাকার মোজাফফর বিশ্বাস। এ ব্যাপারে মাছুম বালীর স্ত্রী কামরুননাহার লাখি বেগম জানান এলাকার কয়েকজন নেতা মিলে বিভিন্ন জনকে মামলায় ফাঁসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে। এমনকী আমার বাবার হত্যাকারীদের সহায়তায় আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
এছাড়া ঘটনা মিমাংসার কথা বলে আমার কাছ থেকে রশিদ মিয়া, মোস্তফা বিশ্বাস নগদ ৫০ হাজার টাকা নেয় এবং  আরো ২ লক্ষ টাকা দাবী করে। বিষয়টি  কাউকে জানালে আমাকে হত্যা করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। স্হানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানিয়েছে রশিদ বাহিনীরা বিভিন্ন জনকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া তাদের নেশা ও পেশা। এই চক্রের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ। ভয়ে মুখ খুলছেনা সাধারণরা। ওই মামলাবাজ চক্রের কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। অভিযুক্তরা শিশু ধর্ষণের ঘটনা মিমাংসার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
কামরুন্নাহার বেগমের মা বিদেশ থেকে ফোন করে জানান তার স্বামীর হত্যাকারীদের ভয়ে তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন এবং ভয়ে দেশের মাটিতে আসতে সাহস পাচ্ছেননা। কামরুন্নাহার লাকি বেগম কান্নায় ভেঙে পড়ে সাংবাদিকদের আরো বলেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রশিদ মিয়া ও চাঁদাবাজ মোস্তফা বিশ্বাস মিলে আমাকে ভূল বুঝিয়ে  নগদ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু ঘটনার মিমাংসা তো দুরের কথা আরো ২ লক্ষ টাকা দাবী করেছে। আমরা গরীব অসহায় হওয়ায় আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তারা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমনকি আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে তাদের হুমকির মুখে অবুঝ শিশু সন্তানকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। ওপর আল্লাহর কাছে বিচার দেয়া ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই।

এমএসি/আরএইচ