ইউএনও অফিস থেকে ৪০ লাখ টাকার টেন্ডার ছিনতাই

সোমবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:২৫


:: আলি হায়দার, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি ::

কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসীর দফতরে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকার দরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে সংস্থার মালিকানাধীন সালুয়া ইউনিয়ন ব্রহ্মপুত্র নদ খননের কুলিয়ারচর অংশের বালি/মাটি ইজারা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, রতন এন্টারপ্রাইজের প্রোঃ সালুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের লীগ নেতা রতন মিয়া ও যুবলীগ নেতা পরশ মিয়ার লোকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্র জানা যায়, সালুয়া ইউনিয়ন ব্রহ্মপুত্র নদ খননে বালি/মাটির গত ১৩ সেপ্টেম্বর দরপত্র আহবান করে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিস। উক্ত বালির ইজারা মূল্য ধরা হয়েছে ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮ টাকা। প্রথম দুই দফায় আশানুরূপ দর পায়নি কর্তৃপক্ষ। পরে পুনরায় তৃতীয় বারের মত টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এ দফায় তিনটি শিডিউল বিক্রি হয়। এরমধ্যে রতন এন্টারপ্রাইজের একটি শিডিউল জমা পড়ে এবং মহিমা এন্টারপ্রাইজ শিডিউল জমা দিতে গেলে তা ছিনতাই হয়। অন্য শিডিউল চাঁদনি এন্টারপ্রাইজ শিডিউল জমা দিতে আসেনি।

জানা গেছে, সোমবার ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্ধারিত সময়ের আগেই শিডিউল জমা দিতে নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরে যেতে চাইলে মহিমা এন্টারপ্রাইজের প্রোঃ রেনু মিয়াকে বাঁধা দেওয়া হয়। পরে ‘দরপত্র বাক্সে’ দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের পিএস ইকবাল হোসেন দরপত্র জমা দিতে গেলে তার কাছ থেকে দরপত্র ছিনতাই করে নেয়। উক্ত ছিনতাই এর ঘটনায় নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ইকবাল হোসেন।

এই বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী বলেন, এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এমএসি/আরএইচ