ইউএনও’র হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিক প্রতিবন্ধি কার্ড প্রদান

বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:৩৮


:: রাজু সরকার, গাইবান্ধা প্রতিনিধি ::
 
নদী ভাঙনে বসতবাড়ি হারিয়েছেন অনেক আগেই। জায়গা জমি না থাকায় অন্যের জমিতে বাড়িঘর তুলে মাথাগোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন শহিদ মিয়া। দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। শারীরিক প্রতিবন্ধি ছেলের চিকিৎসা ও পরিবারের সদস্যদের খাবার জোগাতে তিনি অন্যের দ্বারে ঘুরে সাহায্য প্রার্থণা করেন। ছেলের একটা প্রতিবন্ধি কার্ড ও সরকারি সুবিধার (ভাতা) জন্য লোকজনের কাছে কাকুতি-মিনতি করেছেন, কিন্তু কাজ হয় নাই। অবশেষে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলনের সহায়তায় একদিনেই ছেলের প্রতিবন্ধি কার্ড হাতে পেলেন শহিদ মিয়া।

ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের চর খাটিয়ামারী গ্রামের শহিদ মিয়া। প্রতিবন্ধি ৯ বছরের ছেলে শামিম মিয়াকে কোলে নিয়ে ছেলের চিকিৎসা ও পরিবারের সদস্যদের খাবারের ব্যবস্থা করতে গত  (২১ সেপ্টেম্বর) ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু রায়হান দোলনের কাছে সাহায্যের জন্য আসেন। মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শহিদ মিয়ার অসহায়ত্বের কথা শোনেন। ছেলের প্রতিবন্ধি কার্ড ও ভাতা হয়েছে কিনা জানতে চান।
 
এসব কিছুই হয়নি জেনে ইউএনও আবু রায়হান দোলন তাৎক্ষণিকভাবে ফুলছড়ি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ডেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পূরণ করিয়ে শামিম মিয়ার প্রতিবন্ধি কার্ডের ব্যবস্থা করতে বলেন। মাত্র একদিনের ব্যবধানে যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) শামিম মিয়ার হাতে প্রতিবন্ধি পরিচয়পত্রটি তুলে দেন ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন। তিনি বর্তমান চক্রেই শিশুটির জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা চালুর আশ্বাস দেন।

শহিদ মিয়া বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধি ছেলেকে একটু ভালো রাখতে দীর্ঘদিন থেকে চেয়ারম্যান-মেম্বার সহ এর-ওর কাছে কাকুতি-মিনতি করেছি একটা প্রতিবন্ধি কার্ড ও সরকারি সুবিধার (ভাতা) জন্য। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। লোকমুখে শুনেছি ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মানুষকে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেন। তাই একটু সাহায্যের জন্য মঙ্গলবার এসেছিলাম স্যারের কাছে। স্যারের সাথে দেখা করতে অনুমতি লাগেনি। সবশুনে ইউএনও স্যার আমার ছেলের প্রতিবন্ধি কার্ডের ব্যবস্থা করায় আমার অনেক উপকার হলো।

ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন বলেন, আমার সাথে দেখা করতে কারও অনুমতি লাগে না। যেকোন শ্রেণি-পেশার মানুষ আমার সাথে দেখা করে সহযোগিতা চাইলে সাধ্যমত চেষ্টা করি তা করে দিতে। শহিদ মিয়ার প্রতিবন্ধি ছেলের বিষয়টি শুনে শিশুটির নামে একটি প্রতিবন্ধি পরিচয়পত্র করে দিয়েছি। বর্তমান চক্রেই শিশুটির জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা চালুর ব্যবস্থা করা হবে।
 
 
 

এমএসি/আরএইচ