আয়া দিয়ে চলছে রায়গঞ্জ টিএনটি অফিস

শনিবার ১৯ মার্চ ২০২২ ১৫:০৬


:: সাইদুল ইসলাম আবির, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ::

আয়া দিয়ে চলছে রায়গঞ্জ টিএনটি অফিস, ভাগান্তিতে রায়গঞ্জ উপজেলার টিএনটি ও নেট গ্রাহকরা।সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায় সপ্তাহে ৭ দিনে ২ দিন সরকারি ছুটির দিন বাদে সকাল ১১ টার পর ঝোলে টিএনটি অফিসে তালা! পাওয়া যায় না কোন কর্মকর্তাদেরও ।

তবে অফিস চলাকালীন সময়ে অফিসে চোখে পড়ে শুধু আয়া পদে থাকা গলেজা বেগমকে। অফিসের কর্মকর্তার কথা জানতে চাইলে আয়া পদে থাকা গোলেজা বেগম দিলেন অবাক করা তথ্য!

রায়গঞ্জ উপজেলা টিএনটি অফিসে বর্তমানে রয়েছে ২ জন কর্মকর্তা আয়া বাদে।ইসমাইল হোসেন, আহসানুল হাবিব, ওয়ারম্যান এবং লাইন ম্যানের এই দুই পদে  দায়িত্বে রয়েছেন তারা। দুজনেই অফিস করেন সকাল ১০ টা হতে ১১টা পর্যন্ত মোট ১ ঘন্টা ।
 
এরপর কাজের বাহানা দিয়ে দুজনেই আরাম আয়েশে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ আয়া গলেজা বেগমের কাছে ফেলে রেখে চলে যান নিজ বাসা সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর এলাকায় অন্যজন ধানগড়ায়।

রায়গঞ্জ উপজেলার পাশে বাসা না নিয়ে  জেলার কাজীপুর উপজেলায় থাকেন এই কর্মকর্তারা । এ বিষয়ে এক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন,আমি গত ৫ দিন ধরে এই টিএনটি অফিসে কথা বলার জন্য বারবার আসছি কিন্তু একি! প্রতিদিন ই আমি অফিসে ১১ টার পর তালা ঝুলতে দেখি।
ভুক্তভুগীর অভিযোগের সূত্র ধরে গনমাধ্যম কর্মীরা রায়গঞ্জ উপজেলা টিএনটি অফিসের দুই কর্মকর্তার সাথে অফিসে দেখা করতে গেলে তারাও একই ধরনের চিত্র দেখতে পান।
 
 গণমাধ্যম কর্মীরা ৩দিন চেস্টা করার পর অবশেষে এই দুই কর্মকর্তা সাংবাদিদের মুঠো ফোনে বলেন,আপনারা বসেন আমি আমার বাড়িতে কাজীপুর আছি  ১ ঘন্টা পর অফিসে আসব।
 
এর পর অফিস সময় বাদে বিকাল ৫টায় অফিসে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের অফিস ফাঁকি ও যথা সময়ে অফিসে না থেকে বাড়িতে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন অফিসে লোবল কম তাই বাহিরে থাকতে হয়।

সরকারের হাজার হাজার টাকা বেতন নিয়ে এমন কোটি কোটি টাকার সম্পাদ ফেলে রাখা ও  অফিস ফাঁকি দেওয়ার বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা টিএনটি অফিসের তদারকির দায়িত্বে থাকা কনিষ্ঠ সহ-কারী ব্যাবস্থাপক জনাব মনিরুল ইসলাম বলেন,যথা সময়ে অফিসে না থাকা ও গ্রাহকদের শতভাগ সেবা নিশ্চত না করার বিষয়টি খুবই দঃখজনক ।আমি মোট ৪ টি স্টেশনের দায়িত্বে রয়েছি।তাই আমাকে প্রায় সময় ব্যস্ত থাকতে হয়।আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম তদন্ত করে ঘটনাটি ক্ষতিয়ে দেখব।

 

এমএসি/আরএইচ