আমতলীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন

বুধবার ৬ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৩৮


আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি ::
বরগুনার আমতলীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত আহতাবস্থায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিচারের দাবি ভুক্তভোগী স্বজনদের।

জানা গেছে, গত দুই বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের কড়াইবাড়িয়া গ্রামের সোবাহান খলিফার মেয়ে মোসাঃ হাফিজা (২০) এর সাথে আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চড়কগাছিয়া গ্রামের মৃত্যু জামাল হাওলাদারের ছেলে রেজাউল করিম (২৫) বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুক দাবি করে বাপের বাড়ী থেকে টাকা পয়সা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করে আসছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। 

এতে রাজি না হলে প্রায়ই হাফিজার উপড় চালাত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (৫এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে যৌতুকের জন্য হাফিজাকে বেদম প্রহার করে শরীরের বিভিন্ন স্থাণে ফুলা জখম করে বাড়ীতে আটকে রাখে। ওই দিন বিকেলে সংবাদ পেয়ে হাফিজার বাপের বাড়ীর লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বর্তমানে হাফিজা ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আহত গৃহবধূ হাফিজা সাংবাদিকদের জানায়, বিয়ের পর থেকে প্রতিনিয়ত যৌতুক (বাপের বাড়ী থেকে টাকা আনার জন্য) স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। গতকাল সকালে যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বাশুরী মিলে আমাকে বেদম প্রহার করে। এতে আমি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে সংবাদ পেয়ে আমার বাপের বাড়ীর লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

এ বিষয়ে জানতে আহত হাফিজার স্বামী রেজাউল করিমের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ তানভীর শাহারিয়ার বলেন, গৃহবধূ হাফিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএসি/আরএইচ