আবহাওয়া অফিস না থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

বুধবার ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:১৪


জুলহাস আহমেদ, বরগুনা:

নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাচ্ছে বরগুনার উপকূলীয় জেলেরা। আবহাওয়া অফিস না থাকায় কোন পূর্বাভাস ছাড়াই ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যেতে হচ্ছে। সংকেতহীন সমুদ্রযাত্রায় আবহাওয়ার অবনতিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়তে হয় তাদের। ঘটে ট্রলার ডুবি প্রাণহানির মতো ঘটনা।

বাংলাদেশের বৃহৎ একটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি বরগুনার পাথরঘাটায় হওয়াতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের ট্রলার মাছ শিকারে এখান থেকে সমুদ্রে পাঠায়। এই এলাকায় কোন আবহাওয়া অফিস না থাকায় কোন পূর্বাভাস ছাড়াই শত শত ট্রলার গভীর সমুদ্রে যাচ্ছে জীবিকার তাগিদে মাছ শিকারে। সংকেতহীন এমন সমুদ্রযাত্রায় বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পরেন তারা। প্রতিবছর ট্রলার ডুবি, প্রাণহানি, নিখোঁজ এর মত ঘটনা ঘটেই চলছে। দেশের সর্ব দক্ষিণের সাগর উপকূলীয় জেলা দুর্যোগে বারবার বিপর্যস্ত এই জনপদ। ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি আবহাওয়া অফিস।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির তথ্যমতে বিভিন্ন সময় ঝড়ের কবলে ট্রলার ডুবে ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের অধিক জেলে নিখোঁজ রয়েছে।

জেলেরা বলেন, উত্তাল সমুদ্রের সাথে যুদ্ধ করতে হয় আমাদের আবহাওয়া অফিস থাকলে সঠিক সময় নির্ধারণ করে সমুদ্রে যেতে পারতাম। আবহাওয়া অফিস থাকলেন জান ও মালের অনেকটা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতাম আমরা।

বাংলাদেশ ফিশিং বোট মালিক ফেডারেশন সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, কোটি টাকার মূল্যের এক একটি ট্রলার ২০ থেকে ২৫ জন জেলে নিয়ে কূলহীন গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যায়। কোটি টাকার সম্পদ সমুদ্রে পাঠাই আমরা কিন্তু আবহাওয়া অফিস না থাকায় দুশ্চিন্তা ও প্রতিটা মুহূর্তে আতঙ্কে কাটাতে হয় আমাদের। বাংলা ক বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় আমাদের।


জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, খুব শীঘ্রই জেলেদের এসব সমস্যা সমাধান করা হবে। ইতিমধ্যেই আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছি খুব দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

এমএসি/আরএইচ