অনিয়ম-দুর্ণীতিতে চলছে সুন্দরগঞ্জের ভরত উচ্চ বিদ্যালয়

শনিবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৪৮


:: জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ ::
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নতুন দুলাল ভরট উচ্চ বিদ্যালয়টিতে উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন দূর্ণীতি ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।
অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টিতে একাধিক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দাবিদার হওয়ায় দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির অর্থ লোপাট হচ্ছে। একারণে ২২-২৩ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির অর্থ তাদের আস্থাভাজন ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর বিকাশ করে উত্তোলণ করে আত্মসাত করছেন।

এনিয়ে শিক্ষার্থী অভিভাবকরা ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ করলেও আজও কোন তদন্ত হয় নাই। এতে করে অভিভাবক মহলের চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে চলতি বছরে ঐ প্রতিষ্ঠানটিতে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ৯৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি দেখালেও এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঐ ভর্তিকৃত শিক্ষাথর্ীদের মধ্যে ৩৫ জন বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকা থেকে ১৬-১৭ কি.মি. দূরের একটি কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থী। জাহেদুল ইসলাম কম্পিউটার শিক্ষক হওয়ায় তিনি ঐ শিক্ষার্থীদের নাম উপবৃত্তির তালিকায় দেখিয়ে তার আস্তাভাজন লোকদের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের পায়তারা করছেন।

এছাড়া, তাদের প্রত্যেকের নিকট থেকে ১-২’শ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও জানা গেছে বর্তমানে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিজেদের জাহির করার জন্য জাহেদুল, মফিজলসহ ২-৩ জন শিক্ষক বিদ্যালয়টিকে মহামান্য হাইকোর্ট পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। অপরদিকে আত্মকলোহ রাজনীতির রোষানলে জরজরিত বিদ্যালয়টি কোন রকমের দাড়িয়ে থাকলেও তার দিকে নজর দেওয়ার মত কেউ নেই।

এনিয়ে জাহেদুল ইসলাম জানান, আমি ষঢ়যন্ত্রের শিকার। উপবৃত্তিধারী সুমাইয়া আক্তার ও মাহাবুব জানান, তাদের নামে সরকার দেওয়া উপবৃত্তি তারা পাচ্ছেন না কেন। সে ব্যাপারে জাহেদুল স্যারকে জিজ্ঞা করলে তিনি ধমক দিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেন মন্ডল জানান, কি দেখবো ভাই বিদ্যালয়ের একটি চক্র আমাকেও আসামী করে মামলা করেছে। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এমএসি/আরএইচ