ঝিনাইদহের বে-সরকারি ব্যাংক গুলোতে নেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর ছবি

সোমবার ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৫৫


 
:: লিমন মিয়া, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ::
 
 
আগস্টে জাতির পিতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্যপক কর্মসূচি নেয় সরকার। কর্মসূচি নেওয়া হয় দল থেকেও। ঝিনাইদহ জেলা তথ্য অফিস থেকে দেওয়া হয় পতাকা উত্তোলন ও ব্যানার টাঙানোর নির্দেশনা। কিন্তু ১৫ আগস্টে সরকারি এই নির্দেশনা মানেনি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানও। এই বিষয়গুলি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলো ক্ষোভে ফুঁসলেও কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রোকৌশল অফিস থেকে এই বছর ১৫ আগস্টের দিন পালিত হয়নি কোন অনুষ্ঠান ।পরে এক আয়োজন করে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়া হয় এমন অভিযোগ রয়েছে। এই আয়োজনের ছবি তোলার সময় তারিখ দেখতে চাইলে অফিসে পাওয়া যায়নি উপজেলা প্রোকৌশলীকে অফিসে পাওয়া যায়নি।
 
ঝিনাইদহ শহরে ১৫ টি বে-সরকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সমবায় কর্তৃক নিবন্ধিত আকিজ কো অপারেটিভ ও দি মার্কেন্টাইল ব্যাংক। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত ডাচ বাংলা ব্যাংক লি.,ইউসিবি,ব্র্যাক ব্যাংক,পূবালী,স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক,এনআরবিসি,ইসলামী ব্যাংক প্রাইভেট লি.,এবি ব্যাংক,ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক,উত্তরা ব্যাংক,ব্যাংক এশিয়া,ন্যাশনাল ব্যাংক ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শাখা রয়েছে।এছাড়া অন্যান্য জেলা শহরে আরও কিছু বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে। গেল ১৫ আগস্ট জাতীয় ও শোক দিবসের পতাকা উত্তোলন করেনি আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। টাঙায়নি শোক দিবসের ব্যানার। ব্যাংকটির শ্লোগান শতভাগ শরীয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংক।
 
১৫ আগস্টেই কিছু সাংবাদিক এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন অনলাইনে। কিন্তু এই বিষয়ে কোন খোঁজ নেয়নি জেলা প্রশাসন। পতাকা উত্তোলন না করা বা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে জেলা প্রশাসনের কাউকে শাস্তি দিতে দেখা যায়নি। তারা নির্দেশনা দিয়েই খালাশ। পালন হয়েছে কিনা খোঁজ খবর নেয়নি। ঝিনাইদহ শহরের বেসরকারি ব্যাংক গুলোর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের ইউনিট অফিসে বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার ছবি টাঙানো আছে।ব্যাংকের ম্যানেজার জানালেন, আমাদের হেডঅফিস থেকে ছবি টাঙানোর নির্দেশনা আছে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে কোন নির্দেশনা নেই বলে ছবি টাঙানো হয়নি এমনটা জানালেন, ইউসিবি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজারেরা।
 
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৈয়ব আলী জোয়ার্দার বলেন, প্রত্যেকটা ব্যাংক রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। ব্যবসা করছে। কিন্তু যার জন্য এই দেশ তাকে অমান্য করা হচ্ছে। এই সমস্ত ব্যাংকে আমাদের যেতে খুব কষ্ট লাগে। ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বলেন,আমি ঠিকাদারি কাজের জন্য প্রায় সব ব্যাংকেই লেনদেন করি। এদের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের করোনাকালীন প্রণোদনার ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে পে অর্ডার, ড্রাফট, রেমিটেন্স তাহলে কেন এই সব ব্যাংক রাষ্ট্রীয় আইন মানবেনা। ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর ছবি না থাকায় ক্ষোভে ভাসছে ব্যাংকে লেনদেন করা আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবক সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আলোচনার করবেন বলে জানান।
 

এমএসি/আরএইচ