লোহাগাড়ায় ঠিকাদারের গাফিলতিতে বন্ধ ভবনের নির্মাণ কাজ

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০৬


মনির আহমদ আজাদ, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুখছড়ী রহমানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চলছে টিনের ছাউনি যুক্ত ঘরে। ৪ বছর পূর্বে নতুন স্থাপনা নির্মাণ করার জন্যে পুরাতন ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে অস্থায়ী স্থাপনায় কোনো প্রকারে চলে আসছে শিক্ষা কার্যক্রম। ২০২০-’২১ সালে পাইলিং শেষে থেমে যাওয়া নতুন ভবনের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে কেউ বলতে পারেন না । জানা গেছে, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে নতুন ভবন নির্মাণের নিমিত্তে বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। পাঠদান সচল রাখার জন্য বাঁশের খুঁটি, বেড়া ও টিনের ছাউনি দিয়ে অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।  নড়বড়ে উক্ত স্থাপনাটি ঝড় বৃষ্টিতে এ পর্যন্ত কয়েকবার ভেঙে পড়েছে। এতে পাঠদান কার্যক্রম বার বার বিঘ্নিত হয়।  প্রচন্ড তাবদাহে ও বৈরী আবহাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী জীবন ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষ মনে করে অন্যত্র চলে গেছে। সুখছড়ী রহমানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন কাম-সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এমডিএসপি চট্টগ্রাম প্রকল্পের আওতায় টেন্ডার হয়েছিল। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সরকার ষ্টিল লি. টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করার অনুমতি পায়। ২০২০ সালে অত্র বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি নিলামে ভেঙে ফেলা হয়। নতুন ভবনের জন্য প্রাথমিক কাজ পাইলিং গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়। এরপর থেকে বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। যার ফলে বর্তমান ২০০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রমে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  এস এম রেজাউল করিম। তিনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের কথা বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের কাজ দ্রুত শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম মনির উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।

এমএসি/আরএইচ